Your Desired Everything Is Here

আর মাত্র ০২ দিন বাকী আসছে hsc পরিক্ষা। বাংলার জন্য কিছু প্রেষনা। আশাকরি এগুলি অনুসরণ করলে পরিক্ষা একটু হলেও ভাল হবে

welcome to CDS BD 24


কেমন আছেন সবাই। আশাকরি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন।

আজকের বিষয় বাংলা :

পরিক্ষার বাকি আর ০২ দিন। এই মূহুর্তে অন্য সব সাবজেক্ট বাদ দিয়ে শুধুমাত্র বাংলার কথা ভাববো। সবার কাছে বাংলা যেমন সহজ লাগে,আবার তেমনি সবার মধ্যে খুব টেনশন কাজ করে বাংলাতে এ+ কীভাবে পাবো? বাংলা তো খুব কঠিন! সারা বছর যাবত বাংলা তেমন একটা ধরা হয় না। লিখলেও স্যাররা নাম্বার দিতে চায় না। ইত্যাদি ইত্যাদি চিন্তা ভাবনা।
এখন কী পড়বো? কীভাবে পড়বো?!
আমি আগেই বলেছিলাম পড়াশুনা একটু টেকনিক্যালি পড়তে হয়। এখন আমরা এই ০২ দিন বাংলা দুই পেপার এমনভাবে খুব সহজে শেষ করবো যেনো বাংলাতে সিওর এ+ আসে।
মনে রাখতে হবে,প্রথম পরিক্ষা ভালো হলে কনফিডেন্স লেভেল অনেক বেশি বেড়ে যাবে তখন প্রত্যেকটা পরিক্ষা ভালো হবে। এবার আসি প্রিপারেশন নিয়ে… যেহেতু আমাদের বাংলা ২য় পত্রের আগে একদিনও বন্ধ নেই। তাই প্রথম দুইদিন বাংলা ১ম পত্রের সাথে ২য় পত্রও সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। অর্থাৎ আগামী দুইদিন বাংলা ১ম পত্রতে ০৬ ঘন্টা সময় দিলে বাংলা ২য় পত্রতেও সমানভাবে ০৬ ঘন্টা সময় দিবো। আর শেষ দুইদিন শুধুমাত্র বাংলা ১ম পত্র পড়বো। এভাবে পড়লে বাংলাতে এ+ আসতে বাধ্য।
পরিক্ষার খাতায় কীভাবে লিখলে এ+ আসবে সেটাও বলে দিবো তার আগে আসি প্রিপারেশন কীভাবে নিবো? আমি আগেই বলেছিলাম পরিক্ষায় কি কি আসবে এটা একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায়। আমার টাইমে আমি কোনো সাজেশন ফলো করতাম না। নিজেই সাজেশন বানাতাম। আল্লাহর রহমতে সেগুলা থেকেই আসতো।
প্রথমে আমাকে বাংলা ১ম পত্রের রিটেন পার্ট নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য আমাকে সবার আগে ছয়টা ইম্পরট্যান্ট গদ্য আর ছয়টা ইম্পরট্যান্ট পদ্য সিলেক্ট করতে হবে। এগুলা হচ্ছে রিটেনের জন্য।
এই ১২ টা গদ্য,পদ্য এমনভাবে পড়বো যেনো কোনো কিছু বাকি না থাকে। বাংলা খুব সহজ আর মজাদার। এখন প্রশ্ন থাকতে পারে, এই ১২ টা গদ্য পদ্য কীভাবে পড়বো? এগুলা ভালোভাবে লিখতে হলে প্রথমে লেখক পরিচিতি পড়ে নিবো। তারপর গল্পটা মন দিয়ে দুইবার রিভেশন দিবো। তারপর চলে যাবো মূলভাবে। সেটা মন দিয়ে ০৩ বার পড়বো। পড়ার পর আমার কাজ শেষ। এখন আমার কাজ হচ্ছে টেস্ট পেপারের প্রত্যেকটা সৃজনশীলের ক,খ দেখা। দেখবা তুমি যতগুলা ক,খ আছে,সব পারতেছো। যেটা আনকমন লাগবে সেটাতো টেস্ট পেপার থেকেই জেনে নিবে। তারপর গ,ঘ কীভাবে পড়বো?গ,ঘ ভালো লিখতে হলে মূলভাব ভালোভাবে জানলেই হয়। মূলভাব জানার পর টেস্ট পেপার থেকে জাস্ট দুই থেকে তিনটা সৃজনশীলের গ,ঘ পড়ে নিবে। দেখবা অনেক বেশি ভালো আইডিয়া পাবে। এইভাবে একটা গদ্য ভালোভাবে শেষ করতে মাত্র দেড়-দুই ঘন্টা সময় লাগবে।

*** ইম্পরট্যান্ট গদ্যগুলা হচ্ছে :

বিড়াল,অপরিচিতা,জীবন ও বৃক্ষ,আমার পথ,বায়ান্নর দিনগুলি,রেইনকোট।

 *** ইম্পরট্যান্ট পদ্যগুলা হচ্ছে:

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ,ঐকতান,সাম্যবাদী, তাহাড়েই মনে পড়ে,আঠারো বছর বয়স,নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়।
টোটাল এই ১২ টা গদ্য,পদ্য কেউ ভালোভাবে শেষ করলে সে রিটেনে অনেক বেশি ভালো মার্কস পাবে। এই ১২ টা খুব বেশি মন দিয়ে পড়তে হবে।
আর বাকি ১২ টা গদ্য,পদ্য Mcq এর জন্য পড়ে নিতে হবে। সবার টেনশন থাকে MCQ কমন পাবো কীভাবে? খুব সহজ। যতগুলা গদ্য,পদ্য আছে সবগুলার লেখক পরিচিতি, কাহিনী আর মূলভাব জানা থাকলে MCQ তে ফুল নাম্বার পাওয়া কোনো ব্যাপার না। MCQ ভালো পারার জন্য একটু টেকনিক্যালি পড়তে হবে।
উপন্যাস আর নাটকের মধ্যে যাদের আগে কিছুই পড়া হয়নি তারা জাস্ট উপন্যাসটা সিলেক্ট করো। নাটকের মূল কাহিনী জেনে নিও। কোনো কিছু না পারলে জাস্ট তিন ঘন্টা মন দিয়ে উপন্যাসের মুভিটা দেখে নাও। দেখবা উপন্যাসের সব পারবা..
ক,খ পারার জন্য টেস্ট পেপার থেকে দেখে নিলেই হবে।


পরিশেষে বলি,ভয় পাবার কিছু নেই। এইচএসসি এক্সাম কতটা মজার হয়,সেটা প্রথম পরিক্ষা দিয়ে এসেই বুঝবে। এখন তোমাদের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করছে।কিন্তু ট্রাষ্ট মি এক্সাম ভালো হবে সবার।
আমি আগেই বলেছিলাম সহজ সাবজেক্ট গুলায় যেনো এ+ মিস না যায়। বাংলা আর আইসিটি সব থেকে সহজ। এই দুইটায় এ+ উঠানো সব থেকে ইজি। এই দুইটায় এ+ পাওয়া মানে তুমি এ+ পাবাই। কেনোনা বাকি ০৫ ট সাবজেক্টের মাত্র ০২ টায় এ+ পেলেই জিপিএ-৫ হয়ে যাবে।
সুতরাং টেনশন করা একদম বাদ দাও। অন্য সাবজেক্টের প্রিপারেশন নিয়ে এখন চিন্তা একদম বাদ দাও। এখন শুধু প্রথম তিনটা পরিক্ষা-বাংলা,ইংলিশ,আইসিটি নিয়ে ভাবো। এই তিনটায় অন্তত যেকোনো দুইটাতে যেনো এ+ থাকে।
সুতরাং,টেনশন বাদ দিয়ে মাথা ঠান্ডা করে প্রিপারেশন নাও। বাংলা অনেক সহজ হয়।
আমি নিজেই জেএসএসি,এসএসসি,এইচএসসি এই তিন পরিক্ষার সময় বাংলা চারদিন আগে ধরতাম। সায়েন্সের সাবজেক্টের জন্য বাংলা ধরার টাইম পেতাম না। আল্লাহ রহমতে তিনটা পরিক্ষাতেই বাংলায় এ+ ছিল। তোমাদেরও থাকবে।

বাংলাতে এ+ ডিপেন্ড করে কীভাবে উত্তর করতেছো সেটার উপর।


জিপিএ-৫ পাওয়া সহজ। একটু কেয়ারফুলি এক্সাম দিলেই হয়। টেনশন না করে কনফিডেন্স নিয়ে এক্সাম দাও।
এক্সাম ভালো হবেই।
ইনশাআল্লাহ।



লেবেলসমূহ:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

MKRdezign

যোগাযোগ ফর্ম

নাম

ইমেল *

বার্তা *

Blogger দ্বারা পরিচালিত.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget